সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ প্রশাসনসহ ৬টি প্রতিষ্ঠান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সফর রাজ হোসেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ নাম ঘোষণা করেন।
সফর রাজ হোসেন একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি বিসিএস ৭৭ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন ও অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন, যা তার পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
২০০১ সালে তিনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর, তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে, তিনি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক এবং অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে আরো ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাদের মধ্যে নির্বাচনী সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। দায়িত্ব নেয়ার ১৭ দিন পর, ২৫ আগস্ট তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং দেশের সংকটকালে ছাত্রদের আহ্বানে দায়িত্ব গ্রহণের কথা জানান।