সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে ভারতের। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে তারা ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় বলে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে এস জয়শঙ্কর বলেন, সেখানে যা হচ্ছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের পক্ষ থেকে সম্পর্কটি এমন কিছু যা আমরা স্থিতিশীল রাখতে চাই। আমাদের ভালো বাণিজ্য আছে, আমাদের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ভালো…। আমি সম্পর্কটা এভাবেই রাখতে চাই।
এর আগে, গত মাসে জয়শঙ্কর সংসদে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার কার্যালয় ‘খুব স্বল্প নোটিশে’ ঢাকা থেকে দিল্লিতে পালানোর অনুমতি চেয়েছিল। পরে একটি সর্বদলীয় ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছিলেন, ভারত সরকার হাসিনাকে তার পরবর্তী পদক্ষেপগুলোসম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সময় দিতে প্রস্তুত ছিল। যার মধ্যে তার রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এরডিটিভি বলছে, বিস্তৃত এই সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ এবং সেই সংঘাতে দিল্লির সম্ভাব্য শান্তিরক্ষাকারী ভূমিকা, সেইসাথে ভারতে মুসলিমদের দুর্দশা নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সমালোচনামূলক মন্তব্য, গাজা যুদ্ধ এবং তৃতীয় মেয়াদে প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরের বিষয়ে কথা বলেন এস জয়শঙ্কর।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার প্রত্যাশা করছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশ হোম অফিস সূত্র এনডিটিভিকে বলেছে, তাদের নিয়মনীতি কোনো ব্যক্তিকে আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য সেই দেশে ভ্রমণ করার অনুমতি দেয় না। বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে আছে, এমন ধারনা করা হচ্ছে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।