বিনোদন

সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলেন আশফাক নিপুন

মোহনা অনলাইন

গতকাল রোববার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আশফাক নিপুনসহ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের তথ্য জানানো হয়। কিন্তু চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্যপদ ‘ফিরিয়ে দিয়েছেন’ পরিচালক আশফাক নিপুণ।

দীর্ঘদিন ধরে সেন্সর–প্রথা বাতিলের দাবি ছিল আশফাক নিপুনের। তিনিসহ আরও অনেকে সেন্সর বোর্ডের বদলে সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠনে সোচ্চার ছিলেন। তার মতে, সিনেমায় গ্রেড বা ডিভিশন পদ্ধতি চালু করা উচিত। কথার সঙ্গে কাজের মিল রেখেছেন নির্মাতা। তিনি প্রথমবারের মতো সেন্সর বোর্ডে জায়গা পেয়েও সদস্য পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিপুণ লিখেছেন, ‘সেন্সর বোর্ড আগামী কয়েক মাসের ভেতর সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে রূপান্তরিত হবে বলে আমাকে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়। আমি আজীবন চলচ্চিত্রে বা শিল্পে সেন্সর বোর্ড প্রথার বিরুদ্ধে। আমি খুবই সম্মানিত বোধ করেছি মন্ত্রণালয় আমাকে বোর্ডের সদস্য হওয়ার যোগ্য মনে করেছিলেন। কিন্তু একটা মিস-কমিউনিকেশন হয়ে গেছে। আমি এই বোর্ডের অফিশিয়াল সদস্য পদ গ্রহণ করিনি। বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার কথা হয়ে গেছে। সেন্সর বোর্ডের বাতিলের পক্ষে আমার অবস্থান সর্বদা চলমান থাকবে। নবগঠিত সেন্সর বোর্ডের বাকি সদস্যরা যারা আমার কলিগ, তাদের সেন্সর বোর্ড বাতিল করে দ্রুত সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ড বা গ্রেডিং সিস্টেম চালুর পক্ষে আমার শুভকামনা রইল। ’

আশফাক নিপুন বলেন, ‘আমার নাম যে তালিকায় ঢুকাবে, সেটাই জানতাম না। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর সেটা জানতে পারলাম। এরপর আমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার অবস্থান ক্লিয়ার করেছি এবং এটা মূলত মিস কমিউনিকেশন-এর কারণে হয়েছে। কারণ, এই তালিকায় আমার নাম থাকার কথাই না। আমি সায় দিইনি। কারণ, আমি নিজেই তো এই সেন্সর প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি লম্বা সময় ধরে। সেজন্যই প্রজ্ঞাপন জারির পর আমি বিষয়টি বুঝতে খানিকটা সময় নিয়েছি এবং বিনয়ের সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, এই সম্মানটুকু আমি গ্রহণ করতে অপারগ। সুতরাং সেন্সর বোর্ডে আমি নেই।’

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button