লিজের ওপর গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করার মন্তব্য করায়, তোপের মুখে ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের লিজ চেনির ওপর বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজকে নিয়ে ট্রাম্পের “নয় ব্যারেল গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা উচিত” মন্তব্যটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিক চেনিকে খুনি বলেও উল্লেখ করেছেন, যা আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ নভেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারণা চালান। সমর্থকদের সামনে নিজেদের প্রেসিডেন্সির জন্য উপযুক্ত বলে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন এই দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তার হাতে একটি রাইফেল ধরিয়ে দিয়ে তার দিকে “নয় ব্যারেল গুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা উচিত। দেখা যাক তিনি কেমন অনুভব করেন।”
হ্যারিস ট্রাম্পের বক্তব্যকে সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “তাঁর বক্তৃতা জনগণের উদ্বেগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়”।
যদিও বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় লিজ চেনিকে নিয়ে করা মন্তব্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করে। সে বার্তায় তিনি ডিক চেনিকে একজন খুনি বলে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেন, “বিরোধীদের নিয়ে ট্রাম্পের সহিংস বক্তব্যের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ট্রাম্পের এমন বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়”।
কমলা আরও বলেন, “তার শত্রুদের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে কম মনোনিবেশ করছেন। তার বক্তৃতা আরও চরম আকার ধারণ করেছে এবং আমেরিকান জনগণের প্রয়োজন-উদ্বেগ ও চ্যালেঞ্জের দিকে”।
এই প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন সেলিব্রিটি ও সমর্থকরা কমলা হ্যারিসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যা নির্বাচনের সময়কার উত্তেজনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এরপর, যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের এক নির্বাচনী র্যালিতে কমলা ট্রাম্পকে আবারও মানসিক ভারসাম্যহীন বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া ট্রাম্প মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেন কমলা। হ্যারিসকে সমর্থন জানাতে নেভাদার প্রচারণায় যোগ দেন জনপ্রিয় মার্কিন সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ।
এই প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন সেলিব্রিটি ও সমর্থকরা কমলা হ্যারিসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন যা নির্বাচনের সময়কার উত্তেজনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
নির্বাচনের দিনগুলোতে ট্রাম্প এবং হ্যারিস উভয়েই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য এবং হ্যারিসের জবাবদিহি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।