কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। ৭৫ জনকে সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. সারওয়ার আলম।
সারওয়ার আলম তার ফেসবুক পোস্টে জানান, ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করায় আটক আরও ৭৫ প্রবাসী বাংলাদেশিকে শুক্রবার ক্ষমা করেছে আমিরাত সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে আমিরাত সরকার।
গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ যখন বিক্ষোভে উত্তাল, সে সময় তাতে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছিলেন বাংলাদেশিরা। এ ঘটনায় ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুবাই, শারজাহ ও আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে ২০ জুলাই সন্ধ্যায় বিক্ষোভের সময় ওই ৫৭ বাংলাদেশিকে আটক করে আমিরাতের পুলিশ। দুদিন পর দাঙ্গা, যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং সম্পদহানির মতো অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সাজা ঘোষণা করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সুবিধা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বরার ঘোষণা দেয় আমিরাত সরকার।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আগস্টে বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আটক ও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুক্তির বিষয়ে আরব আমিরাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। পরে ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। এ সময় তিনি বিক্ষোভকারী বাংলাদেশিদের শাস্তি মওকুফের অনুরোধ করেন। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় ৫৭ জন মুক্তি পান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে ১১৩ জন এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন। আর আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরও ৭৫ জন ফিরবেন।