নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হওয়ায় সরকারের কাছে সিভিল সার্ভিসে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। ১১ সদস্যের কমিশনের বৈঠক শেষে জানা গেছে, ক্যাডার ও জেলাপ্রশাসক এ ধরনের শব্দগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন।
সচিবালয়ে আজ রোববার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পেসিফিক কিছু প্রশ্ন ছিল সেখানে যেগুলো পেয়েছি আমরা প্রশাসন সম্পর্কে… অনেকেরই আগ্রহ। যেটা বিসিএস, আমরা বলি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, এটাকে নানান কারণে মনে করা হয় ক্যাডার। ক্যাডার শব্দটার সঙ্গে অনেকের একটা নেগেটিভিটি (নেতিবাচকতা) থাকে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের যে অনেকগুলো সংস্কার প্রস্তাব দেবো এরমধ্যে একটা থাকবে যে, এ ক্যাডার শব্দটি বাদ দিয়ে যার যে সার্ভিস, সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন), সিভিল সার্ভিস (হেলথ), সিভিল সার্ভিস (এগ্রিকালচার)- এভাবে লেখা হবে। এটা একটা বড় সংস্কার আমি মনে করি, এতে অনেকের স্যাটিসফেকশন আসবে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, পরিবর্তনের জন্যই পরিবর্তিত সরকার এসেছে। আমরা কাজ করছি। আমাদের দোষটা কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদেরই বেশি। আমরা শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বলছি, আমরাইতো টিকিয়ে দিয়েছিলাম সরকার। আমি হয়তো ছিলাম না, কিন্তু আমাদের মতো কর্মকর্তারাইতো টিকিয়ে রেখেছেন। তখন তাদের একসুর আর ৫ আগস্টের পর আরেক সুর। এতে আপনারাও ভুক্তভোগী তখন আপনারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি। ।
বিসিএস নিয়ে বললেন তবে ডিসি শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি আছে- সেখানে পরিবর্তন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এ রকম আমরা অনেক জায়গায় পেয়েছি, যেমন জনপ্রশাসন না বলে জনসেবা বলা যায় কিনা, জেলা প্রশাসক ব্রিটিশদের সৃষ্টি। এ শব্দের বাইরে আরও অনেক শব্দ আছে যেমন- কালেক্টর, ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেট আছে এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষ জানতে চায়। আমরা এসব নিয়ে সুপারিশ দেব। তবে সরকার সেটাই নেবে যেটা দেশের জনগণ চায়।
শুধু শব্দ পরিবর্তন করে কী কোনো পরিবর্তন হবে কিনা জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, আসলে মানুষের মন ও মস্তিষ্কের পরিবর্তন করতে হবে। এ দুই জায়গার পরিবর্তনটা আগে করতে হবে। সামনে আরও পরিবর্তন দেখতে পারবেন।