উষ্ণ আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রিয়জনকে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়া যায়। আলিঙ্গন এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, আবেগ, আগলে রাখার তাগিদ— সবকিছু একেবারে প্রকাশ করা যায়। ‘হাজারটা অর্থপূর্ণ শব্দের চেয়ে একটি শক্ত আলিঙ্গন অনেক বেশি শক্তিশালী।’মার্কিন লেখক অ্যান হুডের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। তাই তো আলিঙ্গন এক অব্যর্থ ওষুধ।
প্রিয়জন বলতে যে শুধু সঙ্গী বা প্রেমিক-প্রেমিকাকেই বোঝায়, তা কিন্তু নয়। মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব সবাই প্রিয়জনের কাতারে পড়তে পারেন। খুব বেশি আনন্দের সময় যেমন আমরা প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরি, আবার কাউকে সান্ত্বনা দিতেও বুকে টেনে ধরেন অনেকেই। বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে আলিঙ্গন।
আজ ৩ ডিসেম্বর ‘লেটস হাগ ডে’ বা ‘প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন। যদিও দিনটির উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। সমীক্ষা অনুযায়ী, আলিঙ্গন কেবল আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমাতেও জড়িয়ে ধরার জুড়ি নেই।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে ‘অক্সিটোসিন’ নামক সুখী হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। ফলে কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা কমে কমায়। এছাড়া আলিঙ্গন রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন, বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও হতাশা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ইন্দোনেশিয়ার মুলাওয়ারম্যান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, হাগ থেরাপি হতাশাগ্রস্থ কিশোর-কিশোরীদের মানসিকভাবে সুস্থ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
তাই জীবনের প্রতিটি ব্যস্ততার মাঝে, আজকের দিনে প্রিয়জনকে সময় দিন এবং অন্তত একটি আন্তরিক আলিঙ্গনে তাকে সিক্ত করুন। জড়িয়ে ধরলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অজানা উদ্বেগ বা ভয় কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস।