সেনাবাহিনী থেকে আযমীকে বরখাস্তের আদেশ বাতিল, পাবেন সব সুযোগ-সুবিধা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বরখাস্ত আদেশ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাতিল করা হয়েছে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমীর বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা’ শীর্ষক ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে তার বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা করে বরখাস্তের পরিবর্তে ২০০৯ সালের ২৪ জুন হতে ভূতাপেক্ষভাবে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে।
ফেসবুকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও জানায়, ২০০৯ সালের ২৪ জুন হতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীকে প্রযোজ্য সব প্রকার আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে ইতিপূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ২৩ জুন জারিকৃত উক্ত অফিসারের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ২৩ জুন ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে। এর বৈধতা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তাঁর বরখাস্তের আদেশ বাতিল হয়েছে।
আবদুল্লাহিল আমান আযমী প্রয়াত জামায়াতে ইসলামীর নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের বড় ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীতে একজন মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং কর্মজীবনে বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন।
২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট আবদুল্লাহিল আমান আযমী নিখোঁজ হন। হাসিনা সরকারের পতনের পর চলতি বছরের ৬ আগস্ট আয়নাঘর থেকে তিনি নিজ বাসায় ফেরেন। তখন এক সংবাদ সম্মেলনে বরখাস্তের আদেশ বাতিলের জন্য আইনি লড়াই চালানোর কথা জানান।