দরজায় কড়া নাড়ছে ইংরাজি নববর্ষ। গোটা বিশ্ব প্রস্তুত নতুন বছর ২০২৫-কে স্বাগত জানানোর জন্য। সময়ের ভিন্নতা থাকায় বিশ্বের সবজায়গায় একসঙ্গে নতুন বছর শুরু হয় না। তো, কোন জায়গায় সবার আগে এবং কোন জায়গায় সবার পরে নতুন বছর শুরু হবে?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য চলে গ্রিনিজ মান সময় (জিএমটি) অনুযায়ী। যেটিকে পুরো বিশ্বের সময়ের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। গ্রিনিচ হলো একটি দ্বীপ। এটি মূল মধ্যরেখার স্থান এবং দাঘ্রিমাংশের লাইন। যেটি ০ ডিগ্রিকে নির্দেশ করে। সেখানেই বিশ্বের পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধ বিভক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি সময়ের নির্দেশক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি চিহ্নিত করেছে ইংল্যান্ডের গ্রিনিচের রয়্যাল অবজারভেটরি।
কোথায় প্রথম নতুন বছর পা রাখে তা বেশ চমকপ্রদ। কোনও বিখ্যাত দেশ নয়, প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর অবস্থিত কিরিবাতি দ্বীপে প্রতিবছর ইংরাজি নববর্ষ প্রথম পা রাখে। যাকে ক্রিসমাস আইল্যান্ডও বলা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালও এখানে সবার আগে শেষ হবে।
নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে ৩৩টি প্রবালপ্রাচীর নিয়ে গঠিত কিরিবাতি। পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ২ হাজার কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃতি রয়েছে দেশটির।
কিরিবাতির পর নিউজিল্যান্ড হয়ে অস্ট্রেলিয়া হয়ে জাপান, চিন, ভারত, সৌদি আরব হয়ে এক এক করে বিভিন্ন দেশে রাত ১২টা বাজতে থাকে। মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে নতুন বছরকে সাদরে আহ্বান জানান। এভাবে এগোতে এগোতে আমেরিকায় নতুন বছর পালন শেষ হওয়া মানে প্রায় পুরো পৃথিবীই নতুন বছরে পা রাখা। তবে নতুন বছরে পা রাখা শেষ হয় হাওল্যান্ড ও বেকার দ্বীপে এসে।
এ ২টি দ্বীপই প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। তবে এখানেই শেষ হয় নতুন বছরে পা রাখা। শেষ রাত ১২টা বাজা। এটা পুরোটাই নির্ভর করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার ওপর। কারণ যে কিরিবাতিতে নতুন বছর প্রথম পা রাখে তার থেকে যে দ্বীপে নতুন বছর শেষ পা রাখে তার দূরত্ব খুব বেশি নয়।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দেশ যেটি অন্যান্যদের চেয়ে পরে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। এমনকি দেশটির সবজায়গাতেও একসঙ্গে নতুন বছর শুরু হয় না। দেশটিতে সবার পরে ২০২৫ সাল উদযাপিত হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে।