সিটি করপোরেশনের হিসাব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত স্থায়ী আমানত ও প্রকল্পের জমা অর্থ মিলিয়ে মধুমতি ব্যাংকে দক্ষিণ সিটির ৯৬৬ কোটি টাকা ছিল। মূলত উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চালিয়ে ও ঠিকাদারদের জামানতের টাকা যথাসময়ে না দিয়ে এসব টাকা ব্যাংকটিতে জমা রাখা হতো। এ নিয়ে আগে ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পাননি।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমানতের টাকা ফেরত দিতে মধুমতি ব্যাংকের গড়িমসি করা প্রমাণ করে দেশের ব্যাংকগুলো রুগ্ণ অবস্থায় আছে। সিটি করপোরেশনের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করার কারণ হয়তো এমনটা হতে পারে যে সব টাকা দিয়ে দিলে তারা ব্যাংক চালাতে পারবে না।’
দেশের ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য ভালো করার পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি কেউ যদি টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে তাদের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।