নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ভোটের দিন যাতে কেউ আপনার অধিকার হনন করতে না পারে, কেউ যাতে ভোটকেন্দ্র দখল করতে না পারে, ভোটের বাক্স কেড়ে নিতে না পারে, সেই জনপ্রতিনিধি গড়ে তুলতে হবে আমাদের।
তিনি বলেছেন, “অনিয়ম চাই না আমরা। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। “(ভোটার) হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, রেজাল্ট পযন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।”
সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৫ আগস্টের বিপ্লব আমাদের একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগটা হচ্ছে নাগরিকদের সুযোগের মধ্যে নম্বর ওয়ান ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ। ভোটের অধিকার কিন্তু প্রতিষ্ঠা হয়নি। এ বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি সুযোগ পেয়েছি। এখন প্রতিষ্ঠার কাজটি করতে হবে আমাদের। এই প্রতিষ্ঠার কাজটা করতে প্রথম ধাপ হচ্ছে সুষ্ঠু ভোটার তালিকা। আমাদের ভোটের ট্রেন যখন যাত্রা করল, এ যাত্রার মধ্যে প্রথম কাজটা হলো ভোটারদেরকে সাথে নিতে হবে এবং সঠিক ভোটার তালিকা না করতে পারলে আমাদের সঠিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত হবে। আমরা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে পুরো দেশবাসীকে পাশে চাই। আমরা পুরো দেশবাসী সহযোগিতা নিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। যেদিন মানুষ ভোট দিতে পারবে, যেদিন বিনা দ্বিধায় ভয়-ভীতিহীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচনটা হলো জাতীয় দায়িত্ব। যারা সরকারি চাকরি করে তারা সবাই জানেন। আমাদের সমাজের যে আপামর জনসাধারণ তাদের প্রতি আমার আপিল বেশি। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন এবং পুরা প্রক্রিয়াতে পদে পদে সহযোগিতা করুন। আপনারা মহিলা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করুন, এরা যাতে ভোটের মূল্যটা বুঝে এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তাদেরকে সঙ্গে নিন। যাতে তারা ভোট দিতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন প্রমুখ।