উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে একটি হাসপাতালে ড্রোন হামলার ঘটনায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গত শুক্রবার এই হামলার ঘটনা ঘটে।
দারফুর অঞ্চলের একটি হাসপাতালে হামলায় প্রথমে ৩০ জন নিহত হওয়ার খবর মিললেও, পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে পৌঁছায়। এই হামলার বিস্তারিত তথ্য শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশার শহরে যে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যকর ছিল, তার মধ্যে একটি হাসপাতালে হামলা চালানো হয়। দারফুরের আঞ্চলিক গভর্নর মিনি মিনাউই তার এক্স অ্যাকাউন্টে রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭০ জনেরও বেশি রোগী নিহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধে দারফুরের পশ্চিমাঞ্চল দখল করে রেখেছে আরএসএফ। উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশারও তারা অবরোধ করে রেখেছে, তবে সেনাবাহিনী তাদের পিছু হটাতে বাধ্য করেছে। এই পরিস্থিতিতে এল-ফাশারে স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোও গুরুতর আক্রমণের শিকার হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৌদি হাসপাতালটি এখনও পর্যন্ত একমাত্র সরকারি হাসপাতাল যেখানে অস্ত্রোপচার সম্ভব, কিন্তু তা আক্রমণের শিকার হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংঘাতের কারণে সুদানের প্রায় ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে শুরু হওয়া সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।