৫৯ শতাংশ মানুষ মোবাইলে অনলাইনের খবর পড়েন: জরিপ
হাতের মুঠোয় মোবাইল। বিশ্বটাও হাতের মধ্যে চলে এসেছে। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে যাই ঘটুক না কেন। পাঁচ মিনিটেই নজরে চলে আসে। এর জন্য ভোরে সংবাদ পত্রের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। এমনকি টিভি স্কিনের সামনে বসার প্রয়োজন নেই। ঘর কিংবা বাইর যেখানেই থাকি না। সংবাদ সাথে, সাথেই চলছে। হাতে মোবাইল আছে না ! প্রযুক্তিগত এই সুবিধার জন্য ছাপানো পত্রিকার পাঠকের সংখ্যা ক্রমশই নেমে আসছে। তাই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ( বিবিএস) এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৫৯ শতাংশ পাঠক মোবাইলেই সংবাদ জেনে নেন।
এই জরিপে বলা হয়েছে, অংশ নেওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা ছাপা পত্রিকা পড়েন না। কারণ হিসেবে ৪৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, খবরের কাগজ পড়ার প্রয়োজন মনে করেন না তাঁরা। টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশের বেশি। তবে ৬৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা টেলিভিশন দেখেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে পাঠক, দর্শক ও শ্রোতাদের মনোভাব জানার জন্য পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য জরিপটি করেছে বিবিএস। এ বছর ১ থেকে ৭ জানুয়ারি দেশের ৬৪ জেলায় ৪৫ হাজার খানা (হাউসহোল্ড) থেকে ১০ বছরের বেশি বয়সীদের কাছ থেকে উত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের বিস্তার, মানুষের সংবাদ গ্রহণের অভ্যাসের পরিবর্তন, গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। এতে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা মুদ্রিত খবরের কাগজ না পড়লেও মোবাইল ফোনে অনলাইন সংস্করণ দেখেন। কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা ট্যাবে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ দেখেন বলে জানিয়েছেন আড়াই শতাংশ উত্তরদাতা।
৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, তাঁরা গণমাধ্যমের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের হার ৭ শতাংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে খবরের জন্য ৩১ শতাংশ উত্তরদাতার আস্থা রয়েছে ফেসবুকে। এরপর ইউটিউবে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কোনো কিছু শেখা বা জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে শিক্ষকের ওপরই ভরসা বেশি। এ ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতার কাছে শিক্ষকেরাই সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য।