Top Newsসংবাদ সারাদেশ

রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি, যা বললেন যাত্রীরা

মোহনা অনলাইন

ঢাকা-রাজশাহী রুটে মধ্যরাতে ডাকাতির শিকার হওয়া বাসটি প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতদের দখলে ছিল। এ ঘটনায় বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার আটক হলেও বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। সেদিনের ঘটনার ভয়ংকর বর্ণনা দিয়েছেন বাসের যাত্রীরা।

ইউনিক রোড রয়েলসের আমরী ট্রাভেলস নামের একটি বাসে (নম্বর ময়নসিংহ-ব-১১-০০৬৯) এই ডাকাতি হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মধ্যে এই ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতির সময় দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। তবে ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, ডাকাতি হওয়া বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় পৌঁছানোর পর দুই নারী যাত্রী পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। তবে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলছেন, নারী যাত্রীদের নির্যাতন বা ধর্ষণের ঘটনার কথা কেউ তাঁকে বলেননি। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

ওই বাসের যাত্রীদের একজন নাটোরের বড়াইগ্রামের ওমর আলী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস বাসে করে বাড়ি ফিরছিলাম। গাড়ি ছাড়ার মুহূর্তে কয়েকজন যাত্রীর কানে কানে বাসের হেলপারের কথা বলতে দেখি। এরপর বাইপাইল এসে কয়েকজন যাত্রীকে বাসে তোলেন। বাসটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় পৌঁছালে বাসে থাকা কয়েকজন ডাকাত অস্ত্র হাতে যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা-পয়সা লুট করে নেন।’

ওই বাসে ছিলেন রাজশাহীর চারঘাট এলাকার এক নারী যাত্রী। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন রাতে বাসে কোনো নারী যাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়নি। তবে বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।

ডাকাতিতে বাসের চালক-হেলপার জড়িত ছিল এমনটা মনে হয়েছে কি আপনার? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মতে ড্রাইভারদের সন্দেহ করা ঠিক হবে বলে মনে হয় না। কেননা ডাকাতরা তাদেরকেও মারধর করেছে।

বড়াইগ্রাম থানা‌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বাসের যাত্রীরা মৌখিকভাবে পুলিশকে ডাকাতি হওয়ার কথা বলেছেন। বাসে ডাকাতি বা বাসের যাত্রীদের ধর্ষণের ব্যাপারে কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। ঘটনাস্থলও অন্য জেলায়। তাই আটক বাসের চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারকে কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

বাসযাত্রীদের ভাষ্যমতে, ৪০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বাসটি ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যান। তখন যাত্রীরা দেখতে পান, তাদের অবস্থান মির্জাপুর থানা এলাকার একটি পেট্রোলপাম্পের পশ্চিম দিকে। সেখানে বাসচালক, তার সহকারী ও সুপারভাইজার গন্তব্যে না যেতে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তবে যাত্রীদের চাপের মুখে তারা বাস ছাড়েন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রীদের চাপের মুখে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button