বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রিতে টেসলাকে পেছনে ফেলল চীন

মোহনা অনলাইন

ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের নিরিখে ক্রমশ সবাইকে পিছনে ফেলছে চিন। ইতিমধ্যে এই দেশের একাধিক কোম্পানি বিশ্ব বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম BYD। এই কোম্পানির গাড়ি ভারতেও লঞ্চ হয়েছে।

সম্প্রতি আবার স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমিও এনেছে ইলেকট্রিক গাড়ি, যা বিক্রির নিরিখে চাইনিজ মার্কেটে টেসলাকে পিছনে ফেলেছে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে যত ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয় তার মধ্যে ৭৬% চিনের।  এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, যে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে চিনের আগ্রাসী সম্প্রসারণ কৌশল কীভাবে সফলতা পাচ্ছে। বিশ্বের গাড়ির ব্যাপক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই মাইলস্টোন স্পর্শ করেছে চিন।

ইউরোপে, চিনের ইভি ব্র্যান্ডের বাজারের অংশ দেশ ভেদে ভিন্ন। ইউরোপের বৃহত্তম গাড়ির বাজার হল জার্মানিতে। গত বছর সেখানে বিক্রি হওয়া ৫,৭৮,০০০ ইভির প্রায় ৪% দখল করেছে চিন। যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সে এই সংখ্যাটি একটু বেশি। সেখানে চিনা নির্মাতারা মোট ইভি বিক্রির যথাক্রমে ৭% এবং ৫% দখল করেছে। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিতে এই সংখ্যা ৩% থেকে ৮% পর্যন্ত।

শুধু ইউরোপ নয়, ব্রাজিলে গত বছর বিক্রি হওয়া সমস্ত ইভি এবং পিএইচইভির ৮২% ছিল চিনের। অন্যদিকে, এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ডে (৭৭%), মেক্সিকো (৭০%), ইন্দোনেশিয়া (৭৫%), মালয়েশিয়া (৫২%), নেপাল (৭৪%) এবং ইজরায়েলে (৬৪%) আধিপত্য রয়েছে চিনা ব্র্যান্ডগুলির।

চিনের ইভি ব্র্যান্ডগুলির সাফল্যের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। তবে অনেক দেশে শক্তিশালী স্থানীয় গাড়ি শিল্প না থাকায় তার ভরপুর ফায়দা তুলেছে চিন। এবং আধিপত্য বিস্তার করা সহজ হয়েছে কোম্পানিগুলির জন্য। জানা গিয়েছে, চিনের বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পেও সরকার প্রচুর অর্থ সাহাস্য করে থাকে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে, চিনের সরকার কমপক্ষে ২৩১ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি এবং সহায়তা প্রদান করেছে। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদেশে নতুন শাখা খোলা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং ডিস্ট্রিবিউশনে বাড়তি সাহায্য পায় কোম্পানিগুলি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button