
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলের শহর ক্রিভি রিহ-তে ৯ শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৫ সালে রাশিয়ার এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
শুক্রবারের এ হামলার খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
শহরটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্মস্থান হওয়ায় এর ওপর হামলা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। হামলার সময় রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চলছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এ হামলার ব্যাপারে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সেনা কর্মকর্তা, সদস্য ও বিদেশে সেনা প্রশিক্ষকদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছিল।
ইউক্রেনের মানবাধিকার কমিশনার দিমিত্রো লুবিনেটস জানিয়েছেন, হামলায় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে — এটি এমন অস্ত্র যা মাত্র কয়েক মিনিটেই লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে যায় এবং যেটা থামানো খুবই কঠিন, যদি না আপনার কাছে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
লুবিনেটস জানান, এখানে একটিও সামরিক স্থাপনা ছিল না—ছিল কেবল সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘর।অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, তারা ইউক্রেনীয় সেনা ও বিদেশি প্রশিক্ষকদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। তাদের মতে, এতে ৮৫ জন সেনা ও কর্মকর্তা এবং ২০টি যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।
পুরো বিশ্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতি দেখছে। রুশ বাহিনীর নিক্ষেপ করা প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিটি ড্রোন প্রমাণ করে যে রাশিয়া কেবল যুদ্ধই চায়”, টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন জেলেনস্কি।