ক্রেতা দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমে উঠেছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বৃক্ষ মেলা
রুবায়েত বাপ্পী, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্রেতা দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমে উঠেছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বৃক্ষ মেলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। মেলায় এসে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। ক্রয় বিক্রয়ে খুশি ক্রেতা বিক্রেতারা।
করোনা ভাইরাসের থাবায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এবার ময়মনসিংহে জমে উঠেছে বিভাগীয় বৃক্ষ মেলা। গত ৪ আগস্ট থেকে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া মেলায় দেশী বিদেশি ফুল ফল বনজী ঔষধি গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা কিনতে ও দেখতে প্রতিদিনই মেলায় ভীড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।
ক্রেতা বিক্রেতাদের পাশাপাশি বিশেষকরে মেলাকে ঘীরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও। মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, বৃক্ষ মেলার মাধ্যমে তারা নতুন নতুন বৃক্ষ দেখতে পারছেন চিনতে পারছেন যা আগে শুধু বই পুস্তকে পড়েছেন, গাছের বিভিন্ন উপকারের কথা তোলে ধরে প্রতিটি বাড়ীতেই গাছ লাগানোর আহবান শিক্ষার্থীদের।
এক জায়গায় বহু প্রজাতির গাছের চারা পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। ক্রেতারা জানান তাদের পছন্দ ও চাহিদা মোতাবেক কম মুল্যে গাছের চারা কিনতে পারছেন তার।
বিক্রেতারা জানান এবার মেলায় পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশী।এদিকে বেচাকেনা ভালো হওয়ার পরও কিছুটা হতাশ মেলায় অংশ নেয়া নার্সারী মালিকগণ। তারা জানান বন বিভাগ মেলার সময় ১৫ দিন বেঁধে দিলেও সময়টা পর্যাপ্ত নয়। মেলার সময় বাড়ানোর দাবি তাদের।
মেলায় পুরুষ উদ্যোক্তার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তা হিসাবে স্টল নিয়েছেন নার্সারি ব্যবসায়ী আকলিমা।মেলায় আসা ক্রেতা বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বসিত থাকলেও ভালো বেচা বিক্রির পরও উৎকন্ঠিত নারী নার্সারি ব্যবসায়ী আকলিমা। আকলিমা জানান স্বামীর সাথে নার্সারিতে কাজ করতেন তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর নিজে নার্সারির হাল ধরেন। তিন চার বছর জেলা স্কুল সংলগ্ন সরকারি জায়গায় এ ব্যবসা পরিচালনা করতেন তিনি। সম্প্রতি জায়গা থেকে তাদের উঠিয়ে দেয়া হলে বিপাকে পরেছেন তিনি। নার্সারির গাছের চারাগুলো নিয়েও চিন্তিত আকলিমা। একজন্য সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে ১৯টি স্টল নিয়ে পরিচালিত বিভাগীয় বৃক্ষ মেলাটি ১৯ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।