চিংড়ির ওজন বৃদ্ধিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, র্যাবের অভিযান
আব্দুল জলিল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাঃ ২ অসাধু চিংড়ি ব্যবসায়ীকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান।
সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে পরিচিত। সাতক্ষীরা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও সহকারী পরিচালক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সমন্বয়ে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন কাশিমাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করাকালীন চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারায় চিংড়ি মাছের মালিক মুজাহিদ(২৫), আলআমিনকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এসময়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে অপদ্রব্য পুশকৃত ৬০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়।
অর্থদন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তিদ্বয় জরিমানাকৃত অর্থ তাৎক্ষনিক ভাবে স্বেচ্ছায় পরিশোধ করেন, যাহা বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয় এবং জব্দকৃত চিংড়ি মাছ ধবংস করা হয়েছে।