রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের নতুন সুযোগ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

নাসির উদ্দিন

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের নতুন সুযোগ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বলেন, আন্তঃকোন্দলের কারণে মিয়ানমার আবারও বৈশ্বিক আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এখন বাংলাদেশের উচিত, জোরেশোরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে সামনে আনা। সেক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর পরামর্শ দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমারের অনীহায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। গেলো বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।

তবে রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের জেরে আবার আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রে এসেছে রোহিঙ্গা সংকট। বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ঘিরে বাড়ছে আলোচনা। বিশেষ করে মিয়ানমারের ছোড়া কামানের গোলায় রোহিঙ্গা হতাহত এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে এনেছে ঢাকা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনাতেও গুরুত্ব পেয়েছে বিষয়টি।

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকটের নতুন মাত্রা সামনে এনেছে বলে মনে করছেন অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয় এই সুযোগ কাজে লাগাতে কতোটা মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয় বাংলাদেশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্র বিক্রির জন্য বিশ্বের অনেক দেশ যুদ্ধ পরিস্থিতিকে উস্কে দিতে পারে। তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ নেই তাদের প্রতিবেশি ভারত এবং চীনের। সুতরাং স্থিতিশীল আঞ্চলিক পরিবেশ ফেরাতে দেশ-দুটির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা উচিৎ বাংলাদেশের। তুলে ধরতে হবে প্রত্যাবাসন ইস্যুটি।

আরোও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের জন্য খুবই আন্তরিক:সেনাপ্রধান

নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে সরকারের কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সমাজ এবং অপরাধ বিশ্লেষকরা বলেন, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের অনাগ্রহ স্পষ্ট করতে হবে। অন্যথায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button