ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের মাদক ও মোবাইলের অপব্যবহার রোধ এবং বই মুখী করে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে আদর্শ পাঠাগার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সকাল থেকে রাত অবদি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকার কিশোর কিশোরী এবং মহিলারা লাইব্রেরীতে এসে বই পড়ছে । সরকারী ভাবে এই লাইব্রেরীটিকে ক শ্রেনীর লাইব্রেরী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার চরকমলাপুর এলাকায় ২০০৮ সালে এলাকার তরুণদের নিয়ে ৩ শতাংশ জমির উপর আদর্শ পাঠাগার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নামে এই প্রতিষ্ঠানটি গঠন করেন ফয়সাল খলিফা নামে এলাকার এক যুবক। ২০০৯ সালে জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও ২০১৩ সালে গনগ্রন্থগার অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন লাভ করে এবং ২০১৭ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে তালিকা ভুক্ত হয়ে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। সমাজ কল্যাণ পরিষদ,গনগ্রন্থগার ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের অনুদানে চলে এই লাইব্রেরীটি । প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন পাঠক নিয়মিত এখানে এসে বই পড়েন এবং বই বাসায় নিয়ে যান। এই লাইব্রেরীতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার,বঙ্গবন্ধুর আত্বজীবনী ,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, একাডেমীক বিষয়ক, কৃষি তথ্য বিষয়ক, সাহিত্য বিষয়ক,ইসলামী সাহিত্য বিষয়ক, বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয়ক, শিশু কিসোর বিষয়ক,আইন বিষয়ক, তথ্য ও আইসিটি বিষয়ক বই। তবে লাইব্রেরীতে আরো নতুন নতুন বই সংগ্রহ করা দরকার বলে জানান পাঠকেরা। লাইব্রেরীতে রয়েছে কিছু সমস্যা, রুমের জায়গা স্বল্পতার কারনে অনেক পাঠক এসে বসতে না পেরে চলে যায়। লাইব্রেরীটি আরো সম্প্রসারন ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবী পাঠকদের।
যারা দরিদ্র ছাত্রী-ছাত্রী টাকার অভাবে যে সব বই কিনতে পারেনা। তারা এই লাইব্রেরীতে এসে সেই বই পড়ি। এছাড়া লেখা পড়া যাদের শেষ হয়েছে চাকরির প্রস্তুুতি নিচ্ছে তারাও এই লাইব্রেরীতে এসে বই পড়ে । এই প্রতিষ্ঠানটির কারনে অনেক উপকৃত হচ্ছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফসার লিটন ঢালী বলেন শহরের চরকমলাপুরে আদর্শ পাঠাগার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে । যেখানে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করছে। এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে উপজেলা পরিষদের যদি কিছু করার থাকে অমরা সেটা করবো।
যুব সমাজ ও শিক্ষার্থীদের মাদক মোবাইলের অপব্যবহার বন্ধে আদর্শ পাঠাগার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ন্যায় দেশের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় এই ধরনের পাঠাগার স্থাপন করা জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।