সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে সম্মতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এর ফলে পশ্চিমাদের এই সামরিক জোটের সদস্য হতে আর কোনো বাধা থাকলো না দেশটির।
সোমবার লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিউসে দুই রাষ্ট্র প্রধানের বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন ন্যাটো মহাসচিম জেন্স স্টোলটেনবার্গ। ব্রিটিশ গনমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্টোলটেনবার্গ বলেন, তুর্কি প্রধান তার দেশের সংসদে তুরস্কের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন।
তিনি জানান, তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি নিয়ে দেশটির উদ্বেগের বিষয়টি আমলে নিয়ে নিজেদের সংবিধান সংশোধন ও আইন পরিবর্তন করেছে। এছাড়া গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আরও জোরদার সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান চালানো ও তুরস্কে সমরাস্ত্র রপ্তানি ফের চালু করেছে সুইডেন।
এদিকে তুরস্কের সমর্থন পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি খুবই খুশি, এটি তুরস্কের জন্য একটি ভালো দিন।
সুইডেন ও ডেনমার্ক ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আবেদন জানালে সুইডেনকে জোটের সদস্য করতে অসম্মতি জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট একদোগান। দেশটি ‘কুর্দি সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে সুইডেনকে ন্যাটোতে যোগদানে ভেটো দেয় অঙ্কারা।
তুরস্কের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে কাজ করতে তৈরি আছি। তিনি আরও বলেন, ন্যাটো জোটে ৩২তম সদস্য হিসেবে সুইডেনকে স্বাগত জানাতে মুখীয়ে আছি।
তুরস্কের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। তবে এখনো ন্যটোভুক্ত দেশ হাঙ্গেরির সম্মতি মেলেনি সুইডেনের। তবে সেটাও পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন ন্যাটো প্রধান।