দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পরও উত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁয় এবার দুই শত আঠান্ন হেক্টর জমিতে আউস ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় হাসি ফুটেছে প্রান্তিক চাষিদের মুখে। নওগাঁ জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার জেলায় মোট দুই শত আঠান্ন হেক্টর জমিতে আউস ধান উৎপন্ন হয়েছে। প্রণোদনার বীজ, সার আর চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শদানের ফলে চাষিরা জমি ফেলে না রেখে আউস ধানের চাষ করে এবার কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখছেন। জেলা জুড়ে এখন চলছে আউস ধান কাটা মাড়ার উৎসব।
চাষিরা বলছেন, এবছর দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টি, শ্রমিক সংকট, বেশি মজুরি, জ্বালানি তেল, সার, কীটনাশকের দাম বাড়ায় ধান আবাদের খরচও বেড়েছে। জমি তৈরি থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত এবার প্রতি বিঘা জমিতে আউস ধান চাষে খরচ হয়েছে আট হাজার থেকে দশ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে কমপক্ষে ১৬ মণ। তবে ধানের দাম মণপ্রতি আরো দুই/তিনশ টাকা বাড়লে চাষিদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হবে বলে আশা চাষিদের।
জেলার মহাদেবপুরে খাজুর ইউনিয়নের কুঞ্জবন-ছাতড়া আঞ্চলিক পাকা সড়ক সংলগ্ন নিজের জমি থেকে আউস ধান কাটছিলেন কুঞ্জবন গ্রামের চাষি আফজাল হোসেন, আবেদ আলীসহ অনেকে। তারা জানান, এবার চল্লিশ কাঠা জমিতে আউস ধান লাগিয়েছি।
জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা গ্রামের কৃষক অফেল উদ্দিন জানান, এবার তিনি ২ বিঘা জমিতে আউস ধান লাগিয়েছেন। ধানের বাম্পার ফলনে তিনি খুশি। এছাড়া মান্দা উপজেলার তৈতুঁলিয়া ইউনিয়নের এমরান আলী তারা জানান, এবার ৪০ কাঠা জমিতে আউস ধান লাগিয়েছি।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একে এম মনজুরে মাওলা জানান, এবার এই জেলায় আউস ধান মোট দুই শত আঠান্ন হেক্টর জমিতে রপন করা হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছেন। ফলে এবারে আউসের বাম্পার ফলন হয়েছে।