তবে সৃষ্টিকর্তার তৈরি যে জাহান্নামের কথা ভাবছেন, এটি আদতেও তা নয়। এটি তুর্কিমেনিস্তানের কারাকুমের দারবাজা গ্রামের একটি জ্বলন্ত গুহা যাকে বলা হয়, The Door to Hel বা জাহান্নামের দরজা।
তুর্কিমেনিস্তান মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেলে তুর্কিমেনিস্তান স্বাধীন হয়। তুর্কমেনিস্তানের কারাকুম মরুভূমি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দারবাজা গ্রামে বিশাল কুপটিতে ৪৩ বছর ধরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছেই। অগ্নিকুণ্ডটি মূলত একটি জমে থাকা গ্যাসের গর্ত।
প্রায় ৭০ মিটার প্রশস্ত এই কুপ টি ১৯৭১ সালে প্রথম সোভিয়েত বিজ্ঞানীদের দ্বারা খোলা হয় । তারা সেখানে মুলত গ্যাসের জন্য ড্রিল করছিলেন।
সে সময় একটি ড্রেজার খনির ভেতর পড়ে গেলে মিথেন গ্যাস ছড়িয়ে পরিবেশ ক্ষতির আশংকা দেখা দিলে ক্ষতি এড়াতে খনিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই জ্বলছে খনিটি।
এর আগুনের তাপ এত বেশি যে তার পাশে ২ মিনিটের বেশি দাঁড়ানো কিছুতেই সম্ভব নয়। আর এরপর থেকেই স্থানটির নাম হয় জাহান্নামের দরজা।
তবে জায়গাটকে অনেকে শয়তানের সুইমিং পুল বলেও জানে। ২০১০ সালের এপ্রিলে দেশটির রাষ্ট্রপতি গুরবাঙ্গুলি বারদি মোহা মেদো জায়গাটি পরিদর্শন করে তা বন্ধ করার আদেশ দেন। তবে সেই আদেশ কার্যকর হয়নি। অগ্নিকুণ্ডটি তুর্কমেনিস্তানের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।