নেত্রকোণায় সোমেশ্বরী নদীতে সেতুর অভাবে দুর্ভোগ ৫০ গ্রামের মানুষের
মলয় রঞ্জন সরকার
নেত্রকোণার গারো পাহাড়ি এলাকা দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী নদী। এখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরি দিয়ে পারাপার হতে হয় অর্ধশত গ্রামের মানুষদের। পর্যটন এলাকা হওয়ায় পর্যটকেরাও সেখানে গিয়ে পড়েন বিড়ম্বণায়।এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি শিবগঞ্জ-দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ।
নেত্রকোণার দুর্গাপুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভূমি। পাশেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। দুর্গাপুরে রয়েছে সাদামাটির পাহাড়, বিজয়পুরে উঁচু-নিচুটিলা, সোমেশ্বরী নদী। যা ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে।ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড় থেকে বাংলাদেশে আসা সোমেশ্বরী নদী দুর্গাপুরকে বিভক্ত করে রেখেছে।
এক পাশে দুর্গাপুর সদর আর অপর পাশে কুল্লাগড়া ও গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন।এই দুটি ইউনিয়নের প্রায় পঞ্চাশটি গ্রামের মানুষকে নদী পার হয়ে দুর্গাপুর সদর ও বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হয়। একইভাবে পর্যটকদেরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অবলোকনে নদী পার হয়েই যেতে হয়। কিন্তু দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ নদীর ঘাটে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে শিশুসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
গুরুতর অসুস্থ রোগীসহ প্রতিনিয়ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। এক এলাকাবাসী জানান, নদী পাড়া-পাড়ে ইঞ্জিনচালিত ছোট নৌকার অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।নদীত সেতু নির্মিত না হওয়ায় নদী পারাপারে মানুষসহ বিভিন্ন মালপত্র পরিবহনেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় দুইপাড়ের মানুষকে।
মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি করেছেন এলাকাবাসি।
সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ৩০০ মিটার ব্রিজ নির্মানের উদ্দ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নেত্রকোণার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আলনূর সালেহীন বলেন, সোমেশ্বরী নদীর শিবগঞ্জ-দুর্গাপুর অংশে সেতু নির্মাণ হলে পর্যটন, শিক্ষা, কৃষিসহ স্থানীয় অর্থনীতি পরিবর্তনে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা।