আন্তর্জাতিকজাতীয়

পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে: স্পিকার

মোহনা অনলাইন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে এক যোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেছেন, পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের স্পিকারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে নেপালের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য প্রদীপ পাউডেল এমপি’র নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটসহ বিভিন্ন বিষয়ে এক যোগে কাজ করার আহবান জানান। ‘রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের আন্তরিক অংশগ্রহণ এই অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটে বিভিন্ন দেশের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের পারস্পরিক আলোচনা দেশগুলোর জলবায়ু সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

 

 

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা এখনও বাংলাদেশ পাচ্ছে না। পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। নেপাল নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে যে মাত্রায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে তা প্রশংসনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

নেপাল ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য প্রদীপ পাউডেল এমপি বলেন, রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে কার্যকর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের আতিথেয়তা এবং সামিটের সফলতার প্রশংসা করেন। এসময় নেপালের সংসদ সদস্য মাধব সাপকোটা, ঠাকুর প্রসাদ গায়রে, শোবিতা গৌতম এবং অবকাঠামো উন্নয়ন সংসদীয় কমিটির সচিব উদয় ভান্ডারীসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button