ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল- এর প্রভাবে লিবিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে এত বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে যে, পানির চাপের দুটি বড় বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে উপকূল।
তার সাথে- বাধভাঙা স্রোত নিকটবর্তী এলাকায় চালিয়েছে ধবংসযজ্ঞ। এতে এপর্যন্ত ৩ হাজার জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিখোঁজ প্রায় ১০ হাজার জন।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন, লিবিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিনিধিদলের প্রধান তামির রামাদান।
লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের মুখমাত্র তৌফিক আল-শুকরি জানান, দুই হাজার ৮৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, আর ৯ হাজার জন নিখোঁজের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি।
বেনগাজী- কেন্দ্রিক পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসনের ধারণা, নিহতের সংখ্যা ৩ হাজারের কম হবে না।
পশ্চিমা-সমর্থিত অভ্যুত্থানে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকেই লিবিয়া গৃহযুদ্ধ কবলিত। সরকার ব্যবস্থাও বিভাজিত। পূর্বাঞ্চলের পার্লামেন্ট সমর্থিত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আব্দুলজলিল জানিয়েছেন, কেবল ডের্না শহরেই নিখোঁজ রয়েছেন ৬ হাজার মানুষ।
দুর্যোগ আঘাত হানার পর গতকাল সোমবার ডের্নার পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন আব্দুলজলিল। এই পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডের্না ‘ভূতুড়ে শহরে’ রূপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
লিবিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসার’কে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি সেখানে ভয়াবহ, অনেক জায়গায় এখনও লাশ পড়ে আছে। বাড়ির ভেতর পরিবারগুলো আটকে পড়েছে, ধবংসস্তূপের নিচে রয়েছে অনেকের মৃতদেহ। বন্যার স্রোত অনেক মানুষকে সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার সাগর থেকে অনেকের লাশ উদ্ধার হবে বলে ধারণা করছি।’