শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে লন্ডভন্ড লিবিয়ায় বেড়েই চলেছে প্রাণহানি। ঝড় ও বন্যায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৫ হাজার ৩০০ মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার। এদিকে, লিবিয়ার বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ওষুধ ও শুকনো খাবারসহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম হতাহতের খবর জানিয়েছে।
বন্যার পানি সরে যাওয়ার পর লিবিয়ায় দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেন ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে সবকিছু। ধসে গেছে রাস্তা-ঘাট। পানির স্রোতে ভেসে গেছে অসংখ্য গাড়ি।
বাড়ি-ঘর ও রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ অবস্থায় অঞ্চলটির স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দেশটির বেনগাজি, সোসি, আল বায়দা, আল মারজ এবং দেরনা শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বন্যার পানি সরে গেলেও উপকূলীয় শহর দেরনায় পানির স্তর বিপৎসীমার ১০ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চলছে অভিযান। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল কলেজ ও দোকানপাট। এছাড়াও দেশটির প্রধান চারটি বন্দর সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গেল রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) লিবিয়ায় আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। এরপরই জরুরি অবস্থা জারি করে কর্তৃপক্ষ।
বন্যা কবলিত লিবিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকে। দেশটির দুর্গত মানুষের জন্য বাংলাদেশও ওষুধ ও শুকনো খাবারসহ ত্রান সামগ্রী পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন।