পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে একটি চিঠি লিখেছেন। ওই চিঠিতে প্রেসিডেন্ট আলভি আগামী ৬ নভেম্বর দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট আলভি একতরফাভাবে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে এমন একটি গুঞ্জন রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিইসিকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য সুপারিশ করেছেন।
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে তিনি গত ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন। চিঠিতে প্রেসিডেন্ট আলভি আরও লেখেন, জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের কথা সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছে।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে আগামী ৬ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য তিনি সিইসিকে এই চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আলভি। এর কারণ, জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৮৯তম দিন আগামী ৬ নভেম্বর। সেদিন নির্বাচন আয়োজন করলে সংবিধানের ব্যত্যয় হবে না।
গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান প্রধানমন্ত্রী ও পাকিতস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। একের পর এক মামলায় জড়ানো হয় ৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরানসহ পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের। মামলার কারণে পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কারাবন্দী ইমরানর অংশ নেওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।