জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিল ২০২৩’ পাস হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। বিলের বিধান অনুযায়ী, আগামীতে জন্মের পর একটি স্বতন্ত্র আইডি নম্বর পাবে দেশের সব নাগরিক।
এ সংক্রান্ত কাজের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে একটি আলাদা ‘নিবন্ধকের কার্যালয়’ স্থাপন ও পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। বিলে এনআইডি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলটির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগ এনআইডি পরিষেবার দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাধ্যমে এই সেবাটি জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে বর্তমান আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সব বয়সের নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর লক্ষ্যে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০’ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে হালনাগাদ করে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ সময়োপযোগী। এটি প্রত্যেক নাগরিককে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধিত হওয়ার এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় সদস্য মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বেগম রওশন আরা মান্নান, পীর ফজলুর রহমান এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান।