নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানো প্রসঙ্গে সমকালের প্রধান শিরোনাম, “নির্বাচন ঘিরে সংঘাত দেখছে ইইউ, পাঠাবে না পর্যবেক্ষক”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সংঘাতের শঙ্কা করে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাক পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বা সরকার আমন্ত্রণ জানালে জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বদলে ছোট একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পারে ইইউ। বুধবার সরকারকে এ বিষয়ক চিঠি দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলজিয়ামের ব্রাসেলস থেকে এ-সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে যে, তাদের নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য উপযোগী বলে মনে করছে না। তবে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে ঢাকায় থাকা ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঢাকায় টিকফার বৈঠক নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, “জিএসপি চালু হলে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা”। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যখন জিএসপি চালু হবে তখন বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা চিন্তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলা দিয়ে তৈরি পোশাকে দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া যায় কি না তা ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সফররত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।
বুধবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) সপ্তম কাউন্সিলের বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ এসব কথা সাংবাদিকদের জানান।
এক দশক আগে ২০১৩ সালে দেশের শিল্প খাতের বড় দুর্ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়। এখন যুক্তরাজ্যের সাথে রপ্তানি আয় বাড়াতে দীর্ঘদিন ধরে দেশটির বাজারে অগ্রাধিকার সুবিধা (জিএসপি) পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, “বহিষ্কৃতদের ফেরানোর উদ্যোগ বিএনপির”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একদফা দাবিতে বিএনপি তাদের কর্মসূচি সফল করতে অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্ব-বিভাজন মেটানোর দিকে জোর দিয়েছে। দলকে আরও শক্তিশালী করতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত দুই শতাধিক নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে তারা ভুল স্বীকার করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছেন। এছাড়া চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্য পদগুলোও পূরণ করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন সক্রিয় নেতাকে সম্প্রতি পদোন্নতিও দেওয়া হয়েছে বলে দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন।
সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে টানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে আছে বিএনপি। আজ সিলেট অভিমুখে রোডমার্চের কর্মসূচি রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই আন্দোলনের সফলতা চায় দলটি।
ব্যাংকের দ্বন্দ্ব নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, “ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি দ্বন্দ্ব: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর বার্তা”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়েকটি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পদত্যাগ ও পদত্যাগের গুঞ্জন ঘিরে কয়েকদিন যাবৎ ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার চেয়ারম্যান-এমডিদের দ্বন্দ্ব নিরসন করার কঠোর বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক চেয়ারম্যানদের সাথে বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে দ্বন্দ্ব বন্ধ করে করপোরেট গভর্নেন্স মেনে চলার তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাথে বনিবনা না হওয়া, ব্যাংকের স্বার্থে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় কিছু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে পরিচালনা পর্ষদের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। আর এ নিয়েই কিছু ব্যাংকের এমডি চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন।
খবরে আরো বলা হয়েছে যে, ব্যাংকাররা বলেছেন, নানা সময় ব্যাংকের পরিচালকদের দ্বারা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা হেনেস্তার শিকার হচ্ছেন। সিদ্ধান্ত মনঃপূত না হওয়ায় নানা সময়ে ব্যাংকটি থেকে এমডিরা পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছেন।
ঋণ বিতরণ নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, “৯ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ধকি সম্পত্তির বুদবুদের ওপর ব্যাংক”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশের ব্যাংক খাত ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সহায়ক জামানত হিসেবে এখনো জমি বা ফ্ল্যাটের মতো স্থাবর সম্পত্তিনির্ভর।
যদিও ব্যাংকের কাছে বন্ধক থাকা সম্পদ বিক্রি করেও খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, জামানতের সম্পদ বিক্রি করে দেশের ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের মাত্র ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ আদায় করতে পারছে।
সে অনুযায়ী, জামানত থাকার পরও অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে ৮৭ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ। জামানত বিক্রি করে অবলোপন করা ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি আরো খারাপ।
জামানতের সম্পদ বিক্রি করে ঋণ আদায় সম্ভব না হলেও ব্যাংকগুলো জমি-বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণ বিতরণ বাড়িয়েছে। গত নয় বছরে এই উপায়ে ঋণ দেয়ার হার অন্তত নয় গুন বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রভাবশালীদের বন্ধকি জমির মূল্য কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেখানো হচ্ছে। এ কারণে জামানতের সম্পদ বিক্রি করে খেলাপি ঋণ আদায় সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি খাসজমি, বিতর্কিত মালিকানার জমি বন্ধক রেখেও ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ বের করে নেয়া হচ্ছে।
এক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা সহযোগীর ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের জ্বালানি নিয়ে নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, “Frequent closures of Rampal power plant raise eyebrows” অর্থাৎ “রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়া কপালে ভাজ ফেলেছে”
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সোমবার থেকে আবার চালু হওয়ার আগে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে চলতি সপ্তাহে চারদিন বন্ধ ছিল। গত বছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এটি তার ৬৬০ মেগাওয়াট প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। এরপর থেকে এ নিয়ে অষ্টমবার বন্ধ হল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনবার বন্ধ হয়েছে কয়লার ঘাটতির কারণে এবং পাঁচটি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে। বেস-লোড পাওয়ার প্ল্যান্টের ঘন ঘন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞরাও বিস্মিত, প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “এই ধরনের ঘন ঘন বন্ধ হওয়া প্ল্যান্টের ন্যূনতম পরিমাণ জ্বালানী পোড়ানোর অক্ষমতাকে নির্দেশ করে।” বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঘনঘন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় গ্রিডে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়েও বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
স্যালাইন স্বল্পতা নিয়ে দ্য ডেইল স্টারের প্রধান শিরোনাম, “Market running out of IV saline” অর্থাৎ “বাজারে আইভি স্যালাইন ফুরিয়ে যাচ্ছে।” দেশে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আইভি স্যালাইনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় স্যালাইনের খুচরা দামও ৮৫-৮৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে কয়েকটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়, যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে স্বজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে, তার জরুরি ভিত্তিতে স্যালাইনের প্রয়োজন হলেও অসংখ্য দোকান ঘুরেও এক ব্যাগ স্যালাইন যোগাড় করা যায়নি। এ অবস্থায় অনেক রোগীর স্বজন মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে যাচ্ছেন। এক ব্যাগ স্যালাইন কিনতে গুনতে হয়েছে ২১০ টাকা, তার সাথে ৩০ টাকা বখশিশ।
সরকারি ব্যয় নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, “সংকটের মধ্যে ‘গাড়ি বিলাস’”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে করোনাকাল ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও সরকারের সুদ মুক্ত ঋণে গাড়ি কিনেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। অথচ সরকার সংকটের কারণে মিতব্যয়িতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরকারি কর্মচারীদের সরকার সুদ মুক্ত ঋণে গাড়ি দেয়। ডিসি ইউএনওদের জন্য গাড়ি কেনা হচ্ছে। পাশাপাশি ১৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পুলিশের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব জমা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
সরকার গাড়ি কেনার ব্যয়সীমা সম্প্রতি বাড়িয়েছে এখন ৯৪ লাখ টাকার বদলে সর্বোচ্চ এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। যদিও সরকার অর্থ সংকটে রয়েছে বলে দেশের কয়েকটি জরুরি খাতে ভর্তুকি তুলে নিয়েছে।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি, সার, এমন নানা জরুরি খাতে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেছে, না হলে কমিয়েছে সরকার।
আলুর বাজারদর নিয়ে সংবাদের প্রধান শিরোনাম, “সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আলু আমদানির সুপারিশ”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি জানান, সরকার কোল্ড স্টোরেজে আলুর দর ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করে তুলেছেন। তারা হিমাগার পর্যায়ে ৩৯ থেকে ৪০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে সরেজমিনে দেশের অধিকাংশ জেলায় আরও বেশি দামে আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও কোন কোন জেলায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, “আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও তিন চার দিন দেখবো। এর মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মতো আলুও আমদানির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।”