ইউক্রেন রাশিয়ার জোরপূর্বক দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি শুক্রবার মস্কোর কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের সদরদপ্তরে আঘাত হানে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায় এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় একজন রুশ সেনা নিখোঁজ হয়। সংবাদমাধ্যম এএফপি’র প্রতিবেদনে ইঠে এসেছে এ তথ্য।
রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে মস্কোর জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কৌশলগত দিক থেকে মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ বন্দর একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে রাশিয়ার নৌ সদরদপ্তর থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
এদিকে কর্মকর্তারা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো পার্শ্ববর্তী একটি থিয়েটারের কাছে পড়ে।
ক্রিমিয়ার বৃহত্তম নগরী সেভাস্তোপলে রাশিয়ার বসানো গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ বলেন, ‘শত্রু পক্ষের একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নৌবহর সদরদপ্তরে আঘাত আঘাত হেনেছে।’
এদিকে ইউক্রেন ক্রিমিয় উপদ্বীপে অবস্থিত মস্কোর নৌ কমান্ড ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর নিশ্চিত করেছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে তাদের এই উপদ্বীপ দখল করে নেয়। এর পর থেকে কিয়েভ দ্বীপটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছে, ‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী অস্থায়ীভাবে দখল করে নেওয়া সেভাস্তোপলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহর কমান্ডের সদরদপ্তরে সফল হামলা শুরু করেছে।’
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র এএফপি’কে বলেন, হামলাটি একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত বলে মনে হচ্ছে। তবে তিনি এই হামলায় নৌবাহিনীর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নি।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সেখানে হামলার পর একজন সেনা সদস্য নিখোঁজ রয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে একজন সৈন্য নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়।