রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম নয়। রোগীমৃত্যুর খবরও উঠে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া— ডেঙ্গুর এই লক্ষণগুলি দেখলেই সকলের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি পর্যায় না গেলে বাড়িতেও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু ধরা পরার পর রোগীর অবস্থা বাড়াবাড়ির পর্যায় না পৌঁছালে রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই শরীরে পানির ঘাটতি শুরু হয়। তাই শরীরে পানির পর্যাপ্ত জোগানের ওপর জোর দিতে হবে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়ার অন্যতম কারণই হল ডিহাইড্রেশন। তাই রোগীর খাবারে যেন কোনও ভাবেই পানির অভাব না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। পানির পাশাপাশি চিকিৎসকেরা ডায়েটে মৌসুমী ফল রাখার কথাও বলে থাকেন। ডেঙ্গু রোগীদের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য কোন কোন ফল বেশি করে খেতে হবে?
১) বেদানা: প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে বেদানায়। ফলে দেহের শক্তি বাড়ে, অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।
২) ডাবের জল: জ্বরের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। এটি দেহে পানির ঘাটতিও মেটাবে, উপরন্তু পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ এই ডাবের জল দৈহিক শক্তিও বাড়াবে।
৩) কিউই: এই ফলে ভাল মাত্রায় ভিটামিন সি ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ এই ফল ডায়েটে রাখা জরুরি। এছাড়া এই ফল হজম করতেও সাহায্য করে।
৪) পেঁপে: ডেঙ্গু রোগীর প্রতিদিনের খাবারে পেঁপে রাখতে পারেন। যদিও অনেকে বলেন, পেঁপে পাতার রস খেলে অণুচক্রিকার মাত্রা বাড়ে, তবে এখনও এই বিষয় কোনও সঠিক তথ্য নেই চিকিৎসকদের কাছে। তবে পাকা পেঁপে খেলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়, শরীর চাঙ্গা থাকে, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫) কলা: ডেঙ্গু হলে রোগীর শরীর খুব দুর্বল হয়ে পরে। রোজ কলা খেলে শরীরে শক্তি আসবে। শরীরে পানির ঘাটতিও পূরণ হবে।