হর্ডিঞ্জ ব্রিজের সংরক্ষিত এলাকায় বালুর ব্যবসা বন্ধে সময় বেধে দিয়েছে রেল কতৃপক্ষ
হুজ্জাতুল্লাহ হীরা
পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের সর্ববৃহৎ রেলসেতুর সুরক্ষায় সংরক্ষিত এলাকায় বালুর ব্যবসা বন্ধে এক মাসের সময় দিয়েছে রেল কতৃপক্ষ। ব্রীজের পাশেই পদ্মানদীর তীর ঘেষে স্তুপ করে রাখা হয় বালু, সেখান থেকেই চলে বেচাকেনা।
১৯১৫ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেল সেতু তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী এই সেতুর আশেপাশের এলাকা সংরক্ষিত থাকলেও, প্রভাবশালী কিছু মহল পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে রেলের জায়গায় গড়ে তোলে বালুর ব্যবসা। এভাবেই চলতে থাকে বছরের পর বছর। একপর্যায়ে রেলের জায়গা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তার প্রেক্ষিতে গত মাসের ৮ তারিখ এক মাসের মধ্যে বালু অপসারণের নির্দেশনা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল কর্তৃপক্ষের বেধে দেওয়া এক মাস সময়ের মধ্যে বালু অপসারণের চেষ্টা চালায় ব্যবসায়ীরা কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নৌ পুলিশ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, নানা অজুহাতে বালু অপসারণে বাধা দিচ্ছে তারা।
শুধু বালু অপসারণ নয় প্রতিটা ক্ষেত্রেই যদি নৌ পুলিশকে টাকা না দেওয়া হয় তাহলে স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। বালু উত্তোলন থেকে শুরু করে প্রতিটা ধাপেই নৌ পুলিশের জন্য গুনতে হয় টাকা।
এসব বিষয়ে লক্ষীকুন্ডা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি
এদিকে দর্শনীয় এই স্থানটি হবে দখলমুক্ত, নিশ্চিত করবে নিরাপত্তা এমনটাই প্রত্যাশা করেন সচেতন মহল।