নির্বাচন কমিশনার মো: আনিছুর রহমান বলেছেন, স্মার্ট কার্ড হয়েছে ১০ ডিজিটের৷ এনআইডি-র মতো ১৩ কিংবা ১৬ ডিজিটের লম্বা লাইন থাকছে না। তাছাড়া দেখতে অনেকটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের আদলে হচ্ছে এই কার্ড। এটি ব্যবহার করেই নাগরিকরা সব রকম সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্ট কার্ড জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণের উদ্ভোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জানা যায়, তিন স্তরের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের এই স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের পরিচিতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অর্থাৎ নাগরিকরা নানা ধরনের কাজে এই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন৷
এসময় তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন, পাসপোর্ট, চাকরির আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচা, বিয়ে, রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ব্যাংক ঋণ, শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন, বিমা স্কিম, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকিটিং, মোবাইল সংযোগ, হেলথকার্ড, ই-ক্যাশসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ করার সুবিধা। মোট কথা, নাগরিকদের শনাক্তকরণের প্রশ্নে এই স্মার্ট কার্ডই হবে যথেষ্ঠ।
শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার মো: আনিছুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবির, প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ফরিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, জেলা নির্বাচন অফিসার এ এইচ এম কামরুল হাসান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: তরিকুল ইসলাম। গাজীপুরের সদর সার্কেল মিরাজুল ইসলামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।