রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়ে গত বছর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। গত এপ্রিলে ফিনল্যান্ড সবুজ সংকেত পেলেও তুরস্কের বাধায় সুইডেনের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে।
তবে এবার সুইডেনে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে নিজেদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছে তুরস্ক। খবর রয়টার্স।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যদি তুরস্ককে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় তাহলে ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্যপদ অনুমোদন দেবে তুর্কি সংসদ।
আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজান সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন এরদোয়ান।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আলোচনা করেছেন বলেও জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এরদোয়ান বলেন, সুইডেনের সদস্যপদ অনুমোদনের বিষয়টি তুরস্কের কাছে যুদ্ধবিমান এফ-১৬ বেচার সঙ্গে যুক্ত করেছে মার্কিন প্রশাসন। তারা যদি তাদের প্রতিশ্রুতি রাখে, আমাদের পার্লামেন্টও নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তুর্কি সংসদই সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে কয়েক দশক ধরে নিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করে আসছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়ে ন্যাটো জোটের সদস্য হতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। তবে গত এপ্রিলে ফিনল্যান্ড এ জোটের সদস্যপদ পেলেও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সুইডেনের সদস্যপদ আটকে রাখে তুরস্ক। কেননা ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে আগের সব সদস্য দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়।