নওগাঁর মান্দায় মাত্র ৬ মাসেই ধসে পড়েছে দুই লাখ টাকায় নির্মিত একটি কালভার্ট। উপজেলার তালপাতিলা মোড় থেকে জোকাহাট খেয়াঘাটের রাস্তায় নির্মিত কালভার্টটি সোমবার বিকেলে ধসে পড়ে। এতে ওই রাস্তায় সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কালভার্টটি ধসে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মাত্র ৬ মাস আগে তালপাতিলা থেকে জোকাহাট খেয়াঘাটের রাস্তায় কশব ইউনিয়ন পরিষদ কালভার্টটি নির্মাণ করে। এর দুই ধারে ইটের ১০ ইঞ্চি গাঁথুনি তুলে ঢালাই দেওয়া হয়। সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই কালভার্টটি নির্মাণ করায় এটি ধসে পড়ে। এতে দুই লাখ টাকাই জলে ভেসে গেছে।
কশব ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবির অর্থায়নে তালপাতিলা মোড় থেকে খেয়াঘাটের রাস্তায় প্রায় ২০ ফিট দৈর্ঘ্যের কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। পরিষদের সদস্য আবদুল জব্বার ওই প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন।
তালপাতিলা গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রউফ বলেন, তালপাতিলা মোড় থেকে আত্রাই নদীর খেয়াঘাটে যাতায়াতের এটিই একমাত্র রাস্তা। নদীর দক্ষিণপারে রয়েছে দাসপাড়া ডিগ্রি কলেজ, দাসপাড়া আলিম মাদ্রাসা, দাসপাড়া উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জোকাহাট।
আবদুর রউফ আরও বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে নদী পার হয়ে এলাকার শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার জন্য যায়। ব্যবসায়ীরা ব্যাটারি চালিত চার্জারভ্যান ও সাইকেলে বিভিন্ন পণ্য নদীর এপার-ওপারে নিতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। কালভার্টটি ধসে পড়ায় চরম বেকাদায় পড়েছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা মসলেম উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, কালভার্টটি নির্মাণে সঠিক পরিকল্পনা ছিল না। কাজের মানও ভালো হয়নি। এ কারণে অল্প দিনেই এটি ধসে পড়েছে। কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করেছি। ধসে পড়লে আমার কী করার আছে।’
কশব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, দুই লাখ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। বরাদ্দ বেশি পেলে টেকসই কাজ করা যেত। যেমন বরাদ্দ তেমন কাজ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম মিঞা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।