চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মাদক। উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। প্রকাশ্যেই চলছে মাদক সেবন। এতে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। অবশ্য প্রশাসনের দাবি, মাদক নির্মূলে চেষ্টা চলছে।
উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী করেরহাট এবং বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে ইছাখালী, কাটাছড়া, মঘাদিয়া, সাহেরখালী এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অলিগলি-ঝুপড়ি কিংবা পরিত্যক্ত ঘর সবখানে প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের কারবার ও মাদকসেবন। মরণ নেশায় জড়াচ্ছে তরুণ-কিশোর-বয়স্করা।
বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা করেরহাট দিয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকছে মাদক। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন ইত্যাদি। অপরদিকে বঙ্গোপসাগর হয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা, আইস ইত্যাদি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কারা মাদক সেবন করতেছে এবং কারা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত এটা সবাই জানে। অনেককে দেখেছি মাদকসহ গ্রেপ্তার হতে কিন্তু কয়েকদিন পরে ছাড়া পেয়ে পুনরায় আবার মাদক ব্যবসা শুরু করে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিতে সাহস করে না।
করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগরের কালঘোনা, বদ্ধ ভবানী রুট হয়ে ডুকছে মাদক। কিন্তু সে মাদক নিয়ে আটক হচ্ছে মিরসরাই বা অন্য কোন থানায়। তাহলে বিজিবি ও সংশ্লিষ্ট থানার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল।
জোরারগঞ্জ ও মিরসরাই থানার বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে চলছে মাদক কেনাবেচা। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানা অপরাধ। এতে উদ্বিগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। জনপ্রতিনিধি আর পুলিশের ভাষ্য, মাদক নির্মূলে চেষ্টা চলছে। কারবারীদের ধরতে অব্যাহত আছে অভিযান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জিরো টলারেন্স। মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতি মাসেই আমরা মাদকের কমপক্ষে ১৮-২০ টি মামলা দেই। পাশাপাশি মাদকের বিস্তার রোধে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে তাগিদ দিচ্ছে পুলিশ।