গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুতে আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ। একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনিদের জন্য শোক পালনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনের জন্য শোক দিবস ঘোষণা করেছি। সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘ইসরাইল যেভাবে হাসপাতালে হামলা করে নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, আমরা এর নিন্দা জানাই। দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে; ফিলিস্তিনিরা যেন ন্যায্য জায়গা ফেরত পায়।
শুক্রবার জুমার পর সারা দেশের মসজিদগুলোতে দোয়া ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনারও অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেই মোতাবেক শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সারা দেশে মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পর ফিলিস্তিনের মজলুম স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ-পরবর্তী মোনাজাতে অংশ নিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে চোখের পানি ফেলেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থিত ফিলিস্তিনের শান্তিকামী মানুষের জন্য শূন্যে দুই হাত তুলে দোয়া করেন মহান রবের দরবারে। ধ্বংসলীলার পরিবর্তে সৃষ্টিকর্তা যেন শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন সেই প্রার্থনা করেন তারা।
শুধু মসজিদ নয়, এদিন অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতেও ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত ৭ অক্টোবার ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের সংঘাত শুরুর পর থেকে অন্তত ৪,১৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যার মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। অপরদিকে হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নাগরিক নিহত হয়েছেন; যাদের অধিকাংশই মারা গেছেন যুদ্ধ শুরুর দিনেই।