ইরাকে একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে এই ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। ইরাকি এক সামরিক কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করলে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছিল ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এমনকি ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসব হুমকি-আলটিমেটামের মধ্যেই মাত্র চার দিনে শনিবার পঞ্চমবারের মতো মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সামরিক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, শনিবার ড্রোনটি ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আনবারের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটির ভেতরে ঢুকে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আরেকজন ইরাকি সামরিক কর্মকতা এএফপিকে বলেছেন, শনিবারের হামলায় দুটি আত্মঘাতী ড্রোন অংশ নেয়। প্রথম ড্রোনটি প্রতিহত করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয়টি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানপন্থি ইসলামিক রেজিসট্যান্স নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
গত বুধবার থেকে এ নিয়ে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সেনাদের তিনটি ঘাঁটিতে পাঁচবারের মতো হামলা হলো। এগুলো হলো—আইন আল-আসাদ, উত্তর ইরাকের আল-হারির ঘাঁটি ও বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে একটি সামরিক ক্যাম্প।
ইরাকের এই তিনটি ঘাঁটিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এ ছাড়া জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গঠিত জোটের অন্যান্য দেশের প্রায় এক হাজার সেনা রয়েছে।