১০০ শয্যা নিয়ে চলছে মেহেরপুরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও রোগীর স্বজনরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নির্মান করা হচ্ছে ৯ তলা আধুনিক ভবন। ভনটির কাজ প্রায় শেষের পথে। ভবনটি চালু হলে শয্যা সংকট থাকবেনা বলে জানান হাসপাতালের তত্বাবোধায়ক।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালটি উন্নত চিৎিসার জন্য জেলার একমাত্র হাসপাতাল এটি। ১০০ শয্যার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালটি ২০১৩ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু ২৫০ শয্যার সুযোগ-সুবিধা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন না হওয়ায় আগের কাঠামোতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে হাসপাতালটির কার্যক্রম। জেলায় জনসংখ্যা বাড়ার সাথে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
ঘোষনায় ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও কাজ চলছে ১০০ শয্যার। প্রতিদিন ৩’শ থেকে সাড়ে ৩”শ রোগী ভর্তি থাকে। অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের মেঝেতে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তবে চিকিৎসার প্রায় সব সুযোগ-সুবিধায় দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। নতুন ভবন চালু হলে রোগীদের বেড সমস্যা থাকবেনা।
প্রতিদিন হাসপাতালে আসেন ১ হাজারেও বেশি রোগি। এই অবস্থায় বেড না পেয়ে মেঝে ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে এই পরিস্থিতি উত্তরণে ৯ তলা ভবনের কাজ চলছে। ভবনটি চালু হলে রোগীদের বেড সমস্যা থাকবেনা।
রোগীরা বলছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভাল পাচ্ছি কিন্তু বেড না পেয়ে বাধ্য হয়ে মেঝেতে বিছানা পেড়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ভবনটি দ্রত চালু করার দাবি রোগীদের।