গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে গত ২৪ ঘণ্টায় পরপর দুবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর। এ তালিকায় নিহত ২০০, নিখোঁজ রয়েছেন ১২০ জন এবং আহত ৭৭৭ জন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মঙ্গলবার ও বুধবার জাবালিয়ায় ইসরাইলি হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেছেন, এই ‘অসমানুপাতিক হামলা’ ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে। ইসরাইলের দাবি, হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ক্যানসার চিকিৎসার জন্য গাজার একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতালটি জ্বালানির অভাবে বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে। তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি ছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালগুলো এখন তীব্র জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি।অন্যদিকে, রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়ার পর কমপক্ষে ৮১ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীকে গাজা থেকে মিসরে স্থানান্তরের কাজকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ সময় আরও ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী লোক সীমান্ত অতিক্রম করেছেন।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় কমপক্ষে আট হাজার ৮০৫ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এর আগে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। অন্যদিকে, গাজা শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। ইসরায়েলি সেনারা গত কয়েকদিন ধরে গাজার আরও ভেতরে অগ্রসর হচ্ছে। আর এতে হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে তাদের প্রচণ্ড সংঘর্ষ হচ্ছে।