বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকায় প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কমনওয়েলথ। কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক দলটি আগামী ১৯-২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় থাকার কথা রয়েছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে দেওয়া ইমেইলে ঢাকায় প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ইসি সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার।
শুক্রবার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে কমনওয়েলথের একটা প্রি-অ্যাসেসমেন্ট টিম পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের পরিচালক (ইলেকশন মনিটরিং); একটা বার্তাও পাঠানো হয়। প্রি-অ্যাসেসমেন্ট দলের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর নির্বাচনের সময়ও তাদের একটা দল আসবে বলে আশা করছি আমরা।”
প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের পর্যবেক্ষণ কমনওয়েলথ মহাসচিবকে জানানোর পরে নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বিষয়ে সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে ঢাকায় প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং তারা নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে অবশ্য তারা জানায়, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তারা ঢাকায় চার সদস্যের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফর করে গেলেও নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কিনা, তা এখনো তারা জানায়নি। তবে দেশের নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে তারা পাঁচটি সুপারিশ দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো-সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানো।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অনড়। তারা বলছে, যেকোনো উপায়ে সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচন প্রতিহত করতে এলে তাদের প্রতিরোধ করা হবে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করতে চাচ্ছে তারা।