ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাবার, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে গাজা উপত্যকায়।
অবরুদ্ধ অঞ্চলটির পানি ও খাদ্য পরিস্থিতির মূল্যায়নে জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিনিয়ান রিফিউজিসের (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, গাজার প্রতিটি মানুষ প্রতিদিন গড়ে দুটি রুটি খেয়ে বেঁচে আছে।
এক ভিডিও ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের কূটনীতিকদের একটি এলাকার চিত্র তুলে ধরেন থমাস হোয়াইট। যেখানে ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস প্রায় ৮৯টি রুটির কারখানাকে সাহায্য করছে। কিন্তু এখন মানুষ হন্য হয়ে পানি খুঁজছে।
থমাস হোয়াইট বলেন, টানা ২৯ দিন ধরে ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমা হামলায় গাজা উপত্যকা এখন মৃত্যুপুরী। গাজার কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। গাজার গড় বাসিন্দারা দিনে দুই টুকরো আরবি রুটির ওপর জীবন ধারণ করছেন। পানির সমস্যা এখানে ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে।
জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপসমন্বয়ক এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস বলেন, ‘ ইসরায়েলের তিনটি পানি সরবরাহ লাইনের মধ্যে মাত্র একটি চালু আছে। তাই অনেকে লবণাক্ত বা লবণাক্ত ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করছে।’
এদিকে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘গাজায় জ্বালানি প্রবেশের অনুমতির জন্য ইসরায়েল, মিশর, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল এবং পানি ও বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য জ্বালানি জরুরি।’
গত ২১ অক্টোবর গাজায় সীমিত সাহায্যের অনুমতি দেয় ইসরায়েল। এর আগে দুই সপ্তাহে খাদ্য, পানি ও জ্বালানির অভাবে মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হয়। কয়েক দিন আগে মধ্য গাজার একটি গুদামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। যেখানে মজুদ ছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহায়তা।