সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত লাগে? কিন্তু এমনটা হওয়ার তো কথা নয়। কোনও কাজে এনার্জি পাওয়া যায় না। মনে হয় আরেকটু ঘুম হলে ভালো হতো। কেন এমন হয়? শুধুই কি আলসেমি নাকি কোনও ভয়ঙ্কর রোগের ইঙ্গিত?
সারাদিনের কাজের পর রাতে টানা ঘুম। কর্মব্যস্ত জীবনে এটাই ডেইলি রুটিন। তবে সকালে উঠে ফ্রেশ লাগবে তার উপায় নেই। কেমন একটা দুর্বলভাব অনুভূত হয়। সারাক্ষণ হাই ওঠে। কাজে মন বসে না। মনে হয় আর কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলে বোধহয় ভালো হতো। এই ভাবনা কি সঠিক, না এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ?
চিকিৎসকদের দাবি এমন হয় রক্তে আয়রনের অভাবে। শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলেদেরও হতে পারে এই সমস্যা। রক্তে আয়রনের ঘাটতি ডেকে আনতে পারে বিপদ।
শরীরে আয়রনের প্রয়োজন কতটা তা বলাই বাহুল্য। আয়রন আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে। এই অক্সিজেনের ঘাটতি হলেই দুর্বল লাগতে থাকে শরীর। হাঁপ ধরা, মাথা ঝিমঝিম করা, চোখে মুখে অবসন্ন ভাব চোখে পড়ে। যদি নিয়মিত এমন লক্ষণ চোখে পড়ে তাহলে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত। বুঝবেন কীকরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে কিনা? এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করালেই ধরা পড়বে আয়রনের ঘাটতি।
যারা ভেজিটিয়ান– মাছ, মাংস একেবারেই খান না তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হতে পারে। খাদ্যনালীর সমস্যা থাকলেও এই সমস্যা হয়। এছাড়া প্রেগনেন্সি বা মহিলাদের ব্লিডিং আইরন ডেফিসেন্সির প্রধান কারণ।
রক্তে আয়রনের ঘাটতি মেটায় এমন সব খাবার খান। বিশেষ করে মাছ, মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি রোজের পাতে রাখুন। আয়রন পাওয়া যায় হিম ও নন হিম জাতীয় খাবারে। কুলে খাড়া, ব্র-কলি, টমেটো, বাদাম, ছোলা, বিভিন্ন প্রকারের দানা শস্য, সয়াবিন ইত্যাদি। তবে আয়রন জাতীয় সব খাবার শরীর শোষণ করতে পারে না। এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে খাবার থেকে শরীর যেন আয়রন শোষণ করতে পারে।
অনেকে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে বিভিন্ন সাপলিমেন্ট খান। এটা একেবারেই অনুচিত। এই সব বাজার চলতি সাপলিমেন্ট থেকে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলি না খাওয়াই উচিৎ।