পাঁচফোড়ন মশলা হিসেবে খাবারে ব্যবহার হয়ে থাকে। রসনাতৃপ্তির ক্ষেত্রে পাঁচফোড়ন ব্যবহার করা হয় স্বাদের জন্য। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝাতেও পাঁচফোড়ন উল্লেখ করা হয়। কিন্তু যত যাই হোক না কেন, এর গুণ নজর কাড়ার মত!
শীতকাল মানেই নানা রকম সবজির সমাহার। এ সময় প্রতিবেলায় খাবার পাতে রঙিন সবজির দেখা না পেলে পূর্ণতাই যেন আসে না। কিন্তু পাঁচফোড়ন যদি ভালো মানের না হয় তাহলে তরকারির স্বাদের যে বারোটা বাজবে সেটা কারোই অজানা না।
পাঁচফোড়ন কী? পাঁচফোড়ন হচ্ছে পাঁচটি মসলার সমষ্টি। মৌরি, মেথি, জিরা, কালিজিরা, সরিষা বা ধনিয়া মিলেই হয় পাঁচফোড়ন। রান্নায় মূলত স্বাদবর্ধক হিসেবেই ব্যবহার করা হয় এ মসলা। তবে এর কিছু পুষ্টিগুণও রয়েছে। যতটুকু না বললেই না সেসব উপকারিতার কথা জেনে রাখতে পারেন- পাঁচফোড়নে পুষ্টি ও ঔষধি—দুটি গুণই আছে। এতে রয়েছে খনিজ লবণ। অর্থাৎ পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও কপার।
প্রতিদিনের খাবারের মশলায় পাঁচফোড়ন ব্যবহার শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চলুন দেখ নেয়া যাক পাঁচফোড়নের গুণাগুণগুলো-
মেথি ব্লাড সুগার আয়ত্বে রাখে, শরীরকে ঠান্ডা করে এবং সঙ্গেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। চুলের রুক্ষতা দূর করে।
জিরা হজমের সমস্যায় সর্বদা সহায়ক। শুধু তাই নয়, এটি প্যানক্রিয়াটিক সেলের নানান রোগ দুর করতে পারে। জিরার ঝোল পেট ঠান্ডা করতে পারে। ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কালোজিরা প্রচুর গুণ সমৃদ্ধ! এতে সোডিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ছাড়াও অন্য ধরনের উপাদেয় থাকে। এটি ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা কমায়। হাইপারটেনশন, ব্যথা, চোখের সমস্যা এগুলো কম করে।
মৌরি ব্লাড প্রেসার দুর করে। এছাড়াও হার্টের সমস্যা কম করে। ইমিউনিটি বাড়িয়ে তোলে, ঋতুস্রাবের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। স্কিনের নানা সমস্যা দূর করতেও এটি সক্ষম।
সর্ষে এমনিতেও গুণসম্পন্ন। এটি গ্যস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সার এমনকি অস্থমা জাতীয় রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। চোখ মুখের ভাঁজ দুর করে। তাই বলা উচিত যদি পাঁচফোড়ন রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় তবে শরীরের একেবারেই ক্ষতি হবে না।