বায়ু দূষণের প্রভাবে আমাদের শরীরের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি ক্ষতি হয় ত্বকেরও। শীতে প্রকৃতিতে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায় আরও। এ ধরনের দূষণে ত্বক হয়ে পড়ে প্রাণহীন। তাই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। চলুন জেনে নিই কি কি উপায়ে আমরা ত্বকের ক্ষতিসাধন রোধ করতে পারি।
ক্লিনজিং: যেকোনো স্কিনকেয়ার রুটিনের ভিত্তি হল কার্যকর ক্লিনজিং। শহুরে পরিবেশে, প্রতিদিন রাস্তায় চলাচলের জন্য মুখে ময়লা এবং দানা জমে । ত্বকের ধরন অনুসারে একটি ক্লিনজার বেছে নিন। পাশপাশি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য, অতিরিক্ত তেল কার্যকরভাবে অপসারণ করতে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াস বেছে নিতে হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: দূষণ ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। এ কারণে ত্বকের যত্নে প্রতিদিনের রুটিনে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং নিয়াসিনামাইডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ সিরাম অন্তর্ভুক্ত করুন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ত্বকের সুরক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করে।
ময়েশ্চারাইজার: শহুরে পরিবেশে আবহাওয়ার কারণে ত্বক অতি শুষ্ক হয়ে পড়ে। ময়েশ্চারাইজার শুধুমাত্র ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে না বরং ত্বকের সুরক্ষাও নিশ্চিত করে।
সানস্ক্রিন: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ত্বকের সুরক্ষা: অত্যন্ত দূষিত শহুরে এলাকায়, ত্বক দূষণ থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইল: ত্বকের স্বাস্থ্য আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ত্বক ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল, বাদাম এবং সবুজ শাক-সবজি রয়েছে। হাইড্রেটেড থাকা ত্বকের আর্দ্রতা এবং জীবনীশক্তি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দৈনিক কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।