কক্সবাজার, ১০ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): আর মাত্র এক দিন, তারপর উদ্বোধন করা হবে দোহাজারি- কক্সবাজার পথে স্বপ্নের ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার কক্সবাজারে নব নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। এর জন্য নেয়া হয়েছে সকল ধরণের প্রস্তুতি।
কক্সবাজার শহরের ঝিলংজায় ঝিনুকের আদলে তৈরি এশিয়ার সর্ব বৃহৎ আইকনিক রেল স্টেশনকে সাজানো হয়েছে মনোরম ভাবে। এখানে যাত্রা শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে নতুন একটি ট্রেন। একুশটি গাড়ি নিয়ে নতুন ট্রেনটি বুধবার কক্সবাজারে পৌঁছেছে।
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এছাড়া একই দিনে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। ১০২ কিলোমিটার এই রেলপথে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুমদুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে। কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত হওয়ায় এটি একটি আইকনিক স্টেশন। এতে পাওয়া যাবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেল স্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এই স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লক্ষ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয় তলা ভবনটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আইকনিক রেল স্টেশন দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প এবং আইকনিক স্টেশন ভবন পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পের উদ্বোধন সম্পর্কে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনাও প্রদান করেছেন।
রেলমন্ত্রী বাসসকে বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। এই রেল পথ পর্যটন শিল্পে আমুল পরিবর্তন আসবে। মন্ত্রী বলেন- ‘আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন বিল্ডিং।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটারভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক রয়েছে।