জাতীয়

নির্বাচন সামনে রেখে ১১শ কোটি টাকা চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

মোহনা অনলাইন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রায় ১১শ কোটি চেয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হলে মোট চাহিদা আরও বাড়বে।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, জ্বালানি, ভাতা, খাবার ইত্যাদি খাতে বাহিনীগুলো নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য চাহিদা দেয়। সেই চাহিদা পর্যালোচনা করে বরাদ্দ দেয় কমিশন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলতে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, আনসার ও গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দিয়ে থাকে ইসি। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী, গোয়েন্দা কার্যক্রমের জন্য ব্যয় হয় সংস্থাটির।

কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়ের খাত থেকে এসব ব্যয় মেটানো হবে। প্রয়োজনে সরকারের কাছ থেকে নতুন অর্থ বরাদ্দ চাওয়ার সুযোগ রয়েছে ইসির।

জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭১ কোটি টাকা চেয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা চেয়েছে পুলিশ। এ বাহিনী চাহিদা দিয়েছে ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকার। আনসার বাহিনী চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া বিজিবি ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

রোববার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতদিনের জন্য মোতায়েন থাকবে নির্বাচনী এলাকায় তা কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কত সংখ্যক সদস্য থাকবেন তাও চূড়ান্ত হবে। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্স রয়েছে। ডেপ্লয়মেন্ট ও সংখ্যা বিবেচনায় করেই চাহিদার বিপরীতে অর্থ ছাড় হবে। গত সংসদ নির্বাচনে যেমন হয়েছে, এবারও প্রায় কাছাকাছি ব্যয় হতে পারে।”

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটের তারিখ থাকতে পারে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভাতাও বাড়ছে। তারা আগে এক দিনের ভাতা পেতেন। এবার দুদিনের পাবেন। এক্ষেত্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৮ হাজার, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৬ হাজার ও পোলিং কর্মকর্তারা ৪ হাজার টাকা করে পাবেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button