বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু সংকট রোধে একজোট হয়ে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে বিশ্বের দুই পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে জলবায়ু সংকটকে এ সময়ের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সান ফ্রান্সিসকোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের কয়েকঘন্টা আগে একযোগে কাজ করার এ ঘোষণা দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে জলবায়ু বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারা চলতি মাসের শেষে দুবাইতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন সফল করার অঙ্গীকার করেছেন।
এছাড়া তারা ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু সংকট দিন দিনই বিশ্বের দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন স্বীকার করেছে।
জলবায়ু বিষয়ক মার্কিন দূত জন কেরি এবং চীনা দূত শি জেনহুয়া চলতি মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার সানিল্যান্ডস রিসোর্টে বৈঠক করেন। স্থবির হয়ে পড়া সহযোগিতা পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে তার এ বৈঠকে মিলিত হন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যারিস লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর জন্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। কিন্তু চীন-মার্কিন দ্বন্দ্বসহ ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে দুৃবাইতে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ যোগ দিতে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সম্মেলনের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে বাণিজ্য থেকে মানবাধিকার বিষয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে থাকা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার ওপর।