স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বাদামের জুরি নেই। শিশুদের মস্তিষ্ক গঠনেও খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে কাঠ বাদাম। সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই খাদ্য তালিকায় রাখে। এমনকি ওজন কমাতে গেলেও কাঠ বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে দুটোর বদলে প্রতি দিন চারটি করে কাঠবাদাম খেলে শীতে বেশি সুফল পাওয়া যাবে, এই ধারণা ভুল। শীতকালে প্রয়োজনের অধিক কাঠবাদাম খেলে কী হতে পারে?
এমনিতে সারা বছরই কাঠবাদাম শরীরের যত্ন নেয়। শীতকালীন রোগবালাই থেকে দূরে থাকতেও কাঠবাদাম অন্যতম বিকল্প। তবে শীতে কাঠবাদাম খাওয়ায় খানিকটা রাশ টানা জরুরি। কাঠবাদাম সব সময় অল্প খাওয়া উচিত। বিশেষ করে শীতে। দুটোর বদলে প্রতি দিন চারটি করে কাঠবাদাম খেলে শীতে বেশি সুফল পাওয়া যাবে, এই ধারণা ভুল। শীতকালে প্রয়োজনের অধিক কাঠবাদাম খেলে কী হতে পারে?
অ্যালার্জির সমস্যাঃ শীতকালে অত্যধিক কাঠবাদাম খেয়ে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। কাঠবাদাম খেলে অ্যালার্জির সমস্যা সাধারণত হয় না। তবে আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকলে শীতে কাঠবাদাম খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি।
কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়েঃ কাঠবাদামে রয়েছে অক্সালেট। এই উপাদা কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই শীতকালে কাঠবাদাম যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। কিডনিতে পাথর ছাড়াও অক্সালেট কিডনি সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে।
ওজন বেড়ে যাওয়াঃ কাঠবাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তবে বেশি খেলে ওজন বেড়েও যেতে পারে। এমনিতে শীতকালে শরীরচর্চার অভাব ঘটে। তার উপর অত্যধিক কাঠবাদাম খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বাড়ে শরীরেঃ কাঠবাদাম হল ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ উৎস। কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ভিটামিন ই শরীরের খেয়াল রাখে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভিটামিন ই শরীরে গেলে ডায়রিয়া, বমি, মাথাঘোরার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হজমের গোলমালঃ কাঠবাদামে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। যা হজমের গোলমাল কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ফাইবার থাকা সত্ত্বেও বেশি কাঠবাদাম খেলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। শীতে গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই হতে পারে।
কাঠ বাদামে ৮০শতাংশ চর্বি আছে। চর্বি হজম হতে অনেক সময় লাগে। বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম, পেট ফাঁপা এমনকি ডাইরিয়াও হতে পারে।